আজকাল ওয়েবডেস্ক: আর মাত্র কিছু সময়...তারপরই... খুলে রাখবেন কালো কোট। প্রিয় চেয়ারটাও আর ছোঁয়া হবে না। কলম উঠবে না, লেখা হবে না কোনও রায়। সে রায় হতে পারত কোনও জঘন্য অপরাধের সাজার কিংবা কারও নির্দোষ ঘোষণার। এখন শুধুই অবসর... সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিদায়ী প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, 'আমিই হয়ত এমন একজন যে সবচেয়ে বেশি চর্চিত হয়েছি এবং ট্রোলড হয়েছি।' 

 

 

এরপরই গমগমে গলায় বলে উঠলেন উর্দু কবির এক শায়েরি..

"মুখলিফ সে মেরি শাকসিয়াত সাওয়ারতি হ্যায়, 

মেন দুশমানো কা বড়া আহতেরাম করতা হুন।"

 

 

যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, প্রতিপক্ষ আমার ব্যক্তিত্বকে আরও উন্নত করে। আমার শত্রুদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। শুক্রবার ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিদায়ী অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। আগামী ১০ নভেম্বর তিনি অবসর নিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব থেকে। তবে আজই ছিল আদালতে তাঁর শেষ কর্মদিবস। 

 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">November 8, 2024

 

 

 

এদিনের বিদায়ী সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি বিআর গাভাই, পিকে মিশ্র, সিটি রবিকুমার, এমএম সুন্দ্রেশ, মনোজ মিশ্র, এসভিএন ভাট্টি, পিএস নরসিমহা, সন্দীপ মেহতা, দীপঙ্কর দত্ত, কেভি বিশ্বনাথন ছাড়াও অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং সিনিয়র সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন কৌঁসুলি কপিল সিব্বাল। কপিল সিব্বাল এদিন প্রশংসা করেন প্রধান বিচারপতির। তিনি বলেন, ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। 

 

 

প্রসঙ্গত, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি। তাঁর বাবাও ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রধান বিচারপতি। কর্মজীবনের শেষদিনে বাবার প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, বাবা শিখিয়েছেন কী করে কাজ করতে হয়। অনেক সময় বিচারকদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে। এজলাসে যত মামলা ওঠে সব অন্যায়কারীকে সবসময় উপযুক্ত সাজা দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে প্রতি বিচারকের চেষ্টা করা উচিত আপোষ না করার।